জবিতে ১৯২ আসন ফাঁকা রেখেই ক্লাস শুরু

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জবি

২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম


জবিতে ১৯২ আসন ফাঁকা রেখেই ক্লাস শুরু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিভিন্ন অনুষদে ১৯২টি আসন ফাঁকা রেখেই ক্লাস শুরু হয়েছে আজ। ৯টি মেরিট লিস্ট প্রকাশ করে শিক্ষার্থী না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান অনুষদে ১৬৯টি, কলা অনুষদে ২১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ২টি আসন ফাঁকা রেখে নবম মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হয়। 

এসব অনুষদভুক্ত ডিনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়ায় একের পর এক মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেও আসন পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব আর অর্থ সাশ্রয়ের জন্য গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন সুবিধা দিতে পারেনি গুচ্ছ। কোন কোন ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

তারা বলেন, ৯টি মেরিট লিস্ট দিয়েও প্রায় ২০০ আসন ফাঁকা রেখে ক্লাস শুরু করা আমাদের জন্য আসলেই লজ্জাজনক। গুচ্ছ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে  ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক সেমিস্টার এমনকি কোথাও কোথাও দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ। এতে একই বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পূর্বেই সেশনজটে পড়ে গেছে যেটা খুবই দুঃখজনক। গত বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা। তারা বলেন, সম্পূর্ণ নতুন ও অভিনব এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা বিসর্জন, বিলম্বে পরীক্ষা গ্রহণের কারণে সেশনজট সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার পরিবর্তে আরও বৃদ্ধি, আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব, অপেক্ষাকৃত দুর্বল মেধার শিক্ষার্থী প্রাপ্তি ইত্যাদি বহুবিধ সমস্যার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

গুচ্ছের সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এমএল/এসকেডি

Link copied