বিদ্যা দেবীর আরাধনার মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিনাশ হবে: ঢাবি উপাচার্য
দেবীর আরাধনার মাধ্যমে অকল্যাণ ও অশুভ শক্তির বিনাশ হবে হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সরস্বতী পূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, স্ব স্ব হলের প্রাধ্যক্ষসহ আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, সরস্বতী বিদ্যা, জ্ঞান ও সুরের দেবী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে সরস্বতী পূজা। বিদ্যা দেবীর আরাধনার মাধ্যমে অকল্যাণ ও অশুভ শক্তির বিনাশ হবে এবং মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করে সব ধর্ম ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সত্য, সুন্দর, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অঞ্জলি দেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হয়। গেল দুই বছর করোনার কারণে ছোট পরিসরে আয়োজন করা হলেও এবার ঐতিহ্যবাহী রীতিতে পুরোনো আমেজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেবী বন্দনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে বিভিন্ন আইডিয়া ও থিমভিত্তিক ৭৩টি মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে হল প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত একটি পূজা ছাড়াও এই মহোৎসবের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে হল পুকুরে চারুকলা অনুষদের তৈরি বিশাল আকৃতির একটি প্রতিমা।
/এইচআর/এসএসএইচ/
