ঢাবির ট্যুরিজম বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সৌজন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিবিএ ১৫তম ব্যাচ এবং এক্সিকিউটিভ এমবিএ ইন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ২য় ব্যাচের নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা মিটিং রুমে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিবিএ ব্যাচের ১০০ জন ও এবিএ ব্যাচের ৪০জন নবীন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সম্মানিত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ এমবিএ ইন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্যুরিজমের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. শরিফুল আলম খন্দকার এবং মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে নগদের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এর পরিচালক সোলাইমান সোখন।
অনুষ্ঠানে ৫ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারা হলেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সিনিয়র সহকারী সচিব সাধনা ত্রিপুরা, সি পার্ল হসপিটালিটি গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার মার্কেটিং কমিউনিকেশনস এ কে এম আসাদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আয়েশা হক এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ক্যাটারিং ম্যানেজার কাজী মুহাম্মদ লুৎফর রহমান।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। আমাদের প্রতিটি অর্জনের পথ দেখিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অংশ হওয়ায় তোমাদের অভিনন্দন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুখে থাকবে, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হবে। এটি আমাদের শহীদদেরও স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন পূরণ করার চাবিকাঠি তোমাদের হাতে রয়েছে, তোমরাই পারবে সোনার বাংলাদেশ গড়তে। আমরা আশা করি তোমরা সে লক্ষ্যে শপথ নেবে।
তিনি বলেন, ট্যুরিজমকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, মাইন্ড সেটআপে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আস্তে আস্তে আমরা পরিকল্পিতভাবে ট্যুরিজমকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব বলেন, আজকে যারা আমাদের সামনে বসে আছে তারা আগামী দিনের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টর থেকে শুরু করে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটিসহ দেশের সকল ক্ষেত্রেই আগামী দিনে যারা নেতৃত্ব দেবে, তারা আজকে আমাদের সামনে বসে আছে। এসডিজি অর্জনের যে ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে তার মধ্যে তিনটি লক্ষ্য পর্যটনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। আর এমন কোনো ইন্ডাস্ট্রি নেই যে এসডিজির এতগুলো লক্ষ্য একটি স্পেসিফিক সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এইচআর/এসকেডি