বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বর্ণিল সাজে ঢাবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
শুক্রবার (১৬ মার্চ) রাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, কলা ভবন, স্মৃতি চিরন্তন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবন, প্রশাসনিকসহ কয়েকটি ভবন লাল-নীল-সবুজ রঙের বাতিতে সাজানো হয়েছে।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুজ জাহের নিশাদ বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশের মতো সেজেছে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। টিএসসিসহ ক্যাম্পাসের ভবনগুলো সুসজ্জিত করায় এক বছর পর যেন নিজস্ব প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে, আমাদের আনন্দ উল্লাসে দিনটি ভালো কাটতো বলে বিশ্বাস করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের জন্য এটা খুব আনন্দের বিষয় যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সব মিলিয়ে আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণ। করোনার কারণে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু সম্ভব দিবসটি উদযাপন করব। করোনা না থাকলে এবং আমাদের সব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করলে আমরা বড় পরিসরে উদযাপন করতাম।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপনে ঢাবির কর্মসূচি
প্রতিবছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দিনটি উদযাপন করা হবে। তবে সেটা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে।
কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উপাচার্য এতে সভাপতিত্ব করবেন।
এইচআর/এমএইচএস