বদরুন্নেসায় আবাসিক শিক্ষার্থী হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি 

Dhaka Post Desk

ঢাকা কলেজ প্রতিবেদক

০৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:১২ পিএম


বদরুন্নেসায় আবাসিক শিক্ষার্থী হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি 

রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে আবাসিক শিক্ষার্থীকে মানসিক নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ প্রশাসন। কমিটিতে কলেজের চারজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে সদস্য করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে অধ্যক্ষের কাছে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা।

সোমবার (৬ মার্চ) বিষয়টি জানিয়েছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিকুন নাহার।

তিনি বলেন, কলেজের উপাধ্যক্ষকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও আরও দুইজন শিক্ষকও কমিটিতে রয়েছেন। তারা যাচাই-বাছাই করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে যাব।

আরও পড়ুন>>এবার বদরুন্নেসায় ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ

ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। হয়রানির শিকার রাবেয়া (ছদ্মনাম) বলেন, তদন্ত কমিটির ম্যামরা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। সেদিন রাতে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা ম্যামদের জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের নতুন হলের (ফাতেমা হল)
দ্বিতীয় তলার ২০০০৭ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। অভিযুক্তের নাম হাবীবা আক্তার সাইমুন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী ছাত্রী রাবেয়া (ছদ্মনাম) জানান, তিনি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন ধরেই রুম দখলের জন্য কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমুন চেষ্টা করে আসছিলেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বাদানুবাদও হয়েছে। এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় শনিবার দিবাগত রাতে জোর করে তার পছন্দের শিক্ষার্থীদের এই কক্ষে উঠিয়ে দিয়ে অন্যদের কক্ষ পরিবর্তন করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী কক্ষ পরিবর্তন করতে না চাইলে নির্যাতন করে জোর করে তার বিছানাপত্র ফেলে দেওয়া হয়।

রাবেয়া বলেন, এমন ঘটনায় মানসিকভাবে আমি প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছি। আমি বিষয়গুলো আগেই কলেজ প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কলেজের প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসার আগেই হাবিবা আক্তার সাইমুন তার অনুসারীদের দিয়ে জোরপূর্বক এমন কাজ করছেন। শেষ পর্যন্ত তারা ওই কক্ষটি দখল করেই নিয়েছেন।

আরএইচটি/কেএ

Link copied