ঢাবি ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সোমবার (১০ এপ্রিল) ইফতারের পর ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রদলের। তবে সৈকতের দাবি ছাত্রদল ঢাবি ক্যাম্পাসে লাশ ফেলানোর পরিকল্পনা করছে।
হামলায় ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি ছাত্রদলের। আহতরা হলেন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রদলের সিঃ সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের কর্মী আব্দুল্লাহ আল কাফি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশে হামলায় জসিমউদদীন হল সংসদের সাবেক জিএস ইমাম হাসান, সূর্যসেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল, সমাজসেবা সম্পাদক আশিক আকাশ, মুহসিন হলের মেহেদী, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব খানসহ ৮-১০ জন অংশ নেয় বলে জানান আহত ছাত্রদলের নেতারা।
হামলার স্বীকার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম বলেন, ইফতারের পর সৈকতের অনুসারী ইমাম হাসানের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। আমার গায়ে হাত তোলার সময় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমাদের একাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইফতারের পর হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের ওপর হামলা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশে ও জসিমউদদীন হল ছাত্রলীগের ইমাম হাসানের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।

তিনি জানান, হামলায় গুরুতর আহত মানসুরা আলম দুই কানেই শুনতে পাচ্ছে না। রাজু আহমেদ বাম চোখে মারাত্মক আঘাত পায় এবং পুরো শরীরে আঘাত পান, মেহেদীর মাথায় ১০টা সেলাই লেগেছে এবং পুরো শরীরে আঘাত লাগে, আমান এবং কাফির মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পায়।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, সৈকতের কর্মীরা ৫-৬টি বাইকে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা করেছে। ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চায়। আমরা ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের অরাজকতা চাইনা। ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রসংগঠন নেই, ছাত্রলীগ এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এই হামলা সেটাই প্রমাণ করে।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জানতে পারছি লন্ডন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার নির্দেশ আসছে। ইদানীং আমরা লক্ষ্য করছি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মারমুখী আচরণ করছে। আজকেও ইফতারের পর কয়েকজন ছাত্রের ওপর ছাত্রদল চড়াও হয়। এরপর হলের শিক্ষার্থী এবং আমাদের কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তাদের প্রতিহত করেছে। এ ধরনের লাশের রাজনীতি করতে চাইলে সেটা আমরা দেব না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
এইচআর/এমএ