বিএসএমএমইউর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

দেশেই রোগীদের সর্বাধুনিক সব চিকিৎসা নিশ্চিতের অঙ্গীকার

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:০১ পিএম


দেশেই রোগীদের সর্বাধুনিক সব চিকিৎসা নিশ্চিতের অঙ্গীকার

চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করাসহ দেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য যেন দেশের বাইরে যেতে না হয় এবং রোগীদের সব ধরনের রোগের সর্বাধুনিক উন্নত চিকিৎসা সেবা দেশেই নিশ্চিতের অঙ্গীকার নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২৬তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, সি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ শহীদ ডা. মিলন হলে কেক কাটা হয়।

dhakapost

বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিটি শুরু হয় শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনসহ জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর বেলুন উড়ানোর পর বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে এবং সি ব্লকের সামনে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ১৯৯৮ সালে জাতির পিতার নামে আজকের এদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য পরম করুণাময়ের কাছে সবার প্রার্থনা করতে হবে যাতে তিনি দীর্ঘায়ু হন এবং তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেন।

তিনি বলেন, আজকের দিনে সবার শপথ নিতে হবে সততার সাথে করার। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিরলস পরিশ্রম করে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। শিক্ষার মান আরও বাড়াতে হবে। গবেষণার মানও বৃদ্ধি করতে হবে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসাব্যবস্থা এমন করতে হবে যাতে দেশের বাইরে কাউকে চিকিৎসা নিতে না যেতে হয়। বিশ্বের সর্বাধুনিক অপারেশনের ব্যবস্থাপনা করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমাদের এখানে শিক্ষা গবেষণা ও চিকিৎসার মান বৃদ্ধি করতে পারলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করা হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ জরুরি বিভাগ ছিল না, রোগীদের সুবিধার্থে তা চালু করা হয়েছে। শিগগিরই রোবটিক সার্জারি চালু করা হবে। গবেষণা কার্যক্রম অতীতের তুলনায় অনেক জোরদার করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং রোগীদের যাতে বিদেশে যেতে না হয় সে লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখসহ ডিন, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এফকে

Link copied