শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় বসতে চায় বিএনপি : সাদ্দাম

শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় বসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সোমবার (২২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে সামনে ছাত্রলীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার উদ্ভাবিত কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ায় ছাত্র সমাজের অভিনন্দন বার্তা ও আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তারা (বিএনপি) ফের হত্যার হুমকি দিয়েছে। তারা লাজলজ্জা না রেখে খোলামেলা বলেছে ২০ দফা তাদের লক্ষ্য নয়, ১০ দফা তাদের লক্ষ্য নয়। তাদের একটাই দফা, সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আমরা সেটা জানি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার মাধ্যমে তারা বাংলার জনগণের ক্ষমতায় বসতে চায়। শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমেই জনগণের পরাজয় নিশ্চিত করতে চায়।
তিনি বলেন, আমরা জানি তারা যে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে মাইনাস করা। আজকে আমরা ধিক্কার জানাই এমন একটা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে রয়েছে। যারা আইনের শাসনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে সামরিক ফরমান দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কায়েম করেছে, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। আমরা এর ধিক্কার জানাই।
ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিজ্ঞান শিক্ষাকে প্রান্তিকীকরণ। যেন মফস্বল ও গ্রামের মানুষ আধুনিক মানসম্মত শিক্ষা লাভ করতে পারেন। দক্ষ গ্রাজুয়েট হতে পারেন।
তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা অনেক বেশি মেট্রোপলিটন কেন্দ্রিক ছিল। গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ পেতেন না। প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে, পাহাড়ে, সমতলে কিংবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার এসে বন্ধ করে দেয়। ২০০৮ সালে আপনার আমার ভোটে নির্বাচিত হয়ে সেগুলো আবার চালু করা হয়। প্রত্যেকটি বিভাগে আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রান্তিকীকরণ।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। এতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এইচআর/এফকে