বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. আব্দুল আউয়াল
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়ালকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাকৃবি উপাচার্যের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরবর্তী পূর্ণ মেয়াদে নতুন উপাচার্য নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার স্বার্থে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত বাকৃবির উপাচার্য হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের দায়িত্ব শেষ হয় ২৯ মে।
অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল ১৯৮৪ সালে বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের অধীনে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে অ্যানাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধীনে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে বাকৃবিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০২ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
তিনি ১৯৯৬ সালে জাপানের কাগোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এবং ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম (জেএসপিএস) সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এর ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা জার্নালের সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জার্নালে তার ৬৪টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
বাকৃবিতে শিক্ষকতা ও গবেষণা কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সময়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে চারবার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বাকৃবির বিভিন্ন আবাসিক হলের হাউজ টিউটর, প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি গত বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এমএ
