মাদক সেবন দেখে ফেলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধর

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, বেরোবি

০৯ জুন ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম


মাদক সেবন দেখে ফেলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধর

মাদক সেবন দেখে ফেলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সরদার পাড়ার স্থানীয় কয়েকজন বখাটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সরদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদ ইবনে ওয়াইস ও মেহেদী।

এ ঘটনায় আহত সাদ ইবনে ওয়াইস ও মেহেদীর বন্ধু ইমরান বলেন, রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা ৬ বন্ধু মেস থেকে বের হয়ে সরদার পাড়া মসজিদের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলাম। পাশেই স্থানীয় ছেলেদের একটি গ্রুপ বসেছিল। তারা মাদক জাতীয় কিছু একটা সেবন করছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্য থেকে মনির নামে একজন আমাদের দিকে এগিয়ে এসে জিজ্ঞাস করে ‘তোরা কে? এখানে কী করিস?’ তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলে আমাদের বলে তোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আড্ডা দিবি। এখানে আর আসবি না।

ইমরান আরও বলেন, পরবর্তীতে এক পর্যায়ে স্থানীয় মনির আমার বন্ধু মেহেদীকে থাপ্পর দিতে থাকে। তখন আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে মনিরের সঙ্গে থাকা ১০-১২ জন ছেলে এসে আমাদের মারতে থাকে। এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে আমাদের দিকে তেড়ে এলে সেখান থেকে আমরা পালিয়ে আসি। কিন্তু বন্ধু সাদ ইবনে ওয়াইস ওদের হাতে আটকা পরে। পরে অন্যান্য বন্ধু ও সিনিয়রদের ডেকে আনলে সাদ ইবনে ওয়াইসকে রেখে ওরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অন্য এক শিক্ষককে জানালে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ইমরান আরও জানান, তার বন্ধু সাদ ইবনে ওয়াইস ও মেহেদীকে রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চাঁদের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর মেহেদী কানে কম শুনতে পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক এস এম আশরাফুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতরাতে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কথা শুনে তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের মেডিকেলে দেখতে গিয়েছিলাম। তারা এখন মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন। পুলিশকে বলা হয়েছে যেন দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মারুফ বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় আমরা রাতেই অভিযান পরিচালনা করেছি। এখনো করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

শিপন তালুকদার/এবিএস

Link copied