বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে ‘আপত্তিকর’ উদ্ধৃতি

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

০৯ জুন ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে ‘আপত্তিকর’ উদ্ধৃতি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডটার্ম পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও প্রশ্নকারী শিক্ষকের দাবি, প্রসঙ্গ না বুঝে অনেকেই যার যার অবস্থান থেকে সমালোচনা করছেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নকে ঘিরে এই সমালোচনা শুরু হয়।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‌‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, হেজিমনি বুঝানোর জন্য সিনেমার এই ডায়ালগ বেছে নেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই শব্দগুলো সাধারণত মানুষ নেতিবাচক আলোচনায় তুলে আনে। অন্য অনেক উদাহরণ ছিল যা দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেত। তাছাড়া প্রশ্নপত্রে বাংলাভাষা ইংরেজী শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক সেটিও বিবেচনার বিষয়।

dhakapost

নির্দিষ্ট ওই কোর্সের শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে নেতিবাচক কিছু নেই। এটি কোড আনকোড। যাদের পড়িয়েছি আমি, সেখানে টেক্সট-ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। যারা হেজিমনি পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তোবা যারা জানেন না তারা সমালোচনা করছেন। বিট্রিশ রাজরা কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে হেজিমনিকে প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথার্থ উদাহরণ এবং এখনো প্রত্যেক জায়গায় হেজিমনি রয়েছে। এমনকি প্রশ্নপত্র নিয়ে যেটি হচ্ছে সেটিও হেজিমনির বর্হিপ্রকাশ।

এ বিষয়ে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের বিভাগীয় প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, কেন এমন শব্দ প্রশ্নপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা যিনি প্রশ্নটি করেছেন তিনি বলতে পারবেন। আমি আশা করি তার সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। তারপরও এমন শব্দ ব্যবহারে আমি নিজেও বিব্রত বোধ করছি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এবিএস

Link copied