প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় টিএসসির নতুন নকশা

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ঢাবি

৩১ মার্চ ২০২১, ০৫:৪৯ এএম


প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় টিএসসির নতুন নকশা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পুরোনো স্থাপনাগুলো অক্ষত রেখেই নতুন নকশা ঠিক করেছে স্থাপত্য অধিদপ্তর। যা পছন্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। এখন নকশাটির চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে অপেক্ষা শুধু প্রধানমন্ত্রীর মতামতের।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার। তিনি বলেন, স্থাপত্য অধিদপ্তর একটি নকশা চূড়ান্ত করেছে, যেটি আমাদেরও পছন্দ হয়েছে। স্থাপত্য অধিদফতর প্রধানমন্ত্রীকে নকশাটি দেখাবে। তিনি যদি অনুমোদন দেয় তবেই কাজ শুরু হবে।

নতুন নকশায় আর কোনো পরিবর্তন আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। পুরোনো স্থাপনাগুলো অক্ষত রেখেই নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে। এতে নতুন একটি বহুতল ভবন সংযোজন হচ্ছে। যা তৈরির উপাদানে আদি ভবনের নকশাকার কনস্ট্যান্টিন ডক্সিডিয়াসের ধারণাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বর্তমান টিএসসির সুইমিং পুলের অংশে নতুন ভবন করা হবে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ পাশের তিনটি মঠ সযত্নে রক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নতুন নকশার বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, নতুন নকশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার সমন্বয় ঘটছে। নতুন নকশায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই এটি চূড়ান্ত হবে।

Dhaka Post

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনটিকে তিনি আধুনিক ভবন হিসেবে দেখতে চান। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবনের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।  গত বছরের শেষ দিকে গণপূর্তকে টিএসসি নিয়ে নিজেদের চাহিদাপত্র জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পরে এক সভায় টিএসসির সংস্কারে একটি খসড়া নকশা উপস্থাপন করে স্থাপত্য অধিদপ্তর। ঐ নকশা অনুযায়ী, টিএসসির পুরোনো সব ভবন ভেঙে নতুন তিনটি ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি ভবনের মধ্যে দুটি হবে তিনতলা বিশিষ্ট। অন্যটি হবে ছয়তলা। ছয়তলা ভবনটি হবে বর্তমান ক্যাফেটেরিয়ার স্থানে। আর তিন ভবনের দুটি হবে বর্তমান টিএসসির সামনের ভবনটির স্থানে। অন্যটি হবে অডিটোরিয়ামের স্থানে।

কিন্তু তখন এ নকশাটি পছন্দ হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। নতুন করে নকশা প্রণয়নের জন্য মতামত দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এইচআর/ওএফ

Link copied