রাবিতে সেই ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ সিলগালা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি চুক্তির টাকা আদায় করতে শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের শাহ মখদুম হলের কক্ষটি সিলগালা করে দিয়েছে হল প্রশাসন।
গত ২১ আগস্ট হল প্রশাসনের ৯৯তম সভায় তার কক্ষটি সিলগালা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান হল প্রাধ্যক্ষ ড. রুহুল আমিন। সিলগালার পাশাপাশি দরজার ওপর কারণ জানিয়ে নোটিশও ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
মুশফিক তাহমিদ তন্ময় রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন শাহ মখদুম হলের ২৫২ নম্বর কক্ষে।
শাহ মখদুম হলের নোটিশে বলা হয়, হল প্রশাসনের ৯৯তম জরুরি সভায় ২৫২ নম্বর কক্ষে বহিরাগত অবস্থান করে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় কক্ষটি সাময়িকভাবে সিলগালা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. রুহুল আমিন বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এতদিন ওই রুমটি তন্ময়ের দখলে ছিল। আমরা কয়েকবার তাকে বের করে দিয়েছি তবুও সে ওই রুম দখল করেছে। পরে আমরা হল প্রশাসনের ৯৯তম সভায় আলোচনা করে রুমটিকে সিলগালা করে দেই। এবং সঙ্গে একটি নোটিশও লাগিয়ে দেই।
সিলগালা খুলে রুমটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সাময়িকভাবে ওই রুমটিকে সিলগালা করেছি। কিছু দিন সিলগালা থাকার পর রুমের তালা খুলে দিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার আগে ১৮ আগস্ট ভর্তি জালিয়াতি ও প্রক্সি দিয়ে ভর্তি হতে আসা এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় দুটি মামলা করা হয়। পরে ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
জুবায়ের জিসান/আরএআর