তারেকের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি ঢাবি সাদা দলের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (২৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর জন্য হাইকোর্টের একটি ব্যাঞ্চের দেওয়া আদেশে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এ ধরনের আদেশ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সহায়ক। তাই এ আদেশ প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
হাইকোর্টের আদেশ বাক স্বাধীনতাও হরণের চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপির নেতৃত্বে চলমান গণআন্দোলনে সরকার ভীত ও অস্বস্তিতে পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণ ও বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচারাঙ্গনকেও ব্যবহার করছে। যার একটি সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর জন্য হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ। এর মাধ্যমে তারেক রহমানের বাক স্বাধীনতাও হরণের চেষ্টা করা হলো।
আমরা মনে করি, এসব অপকৌশলের মাধ্যমে সাময়িকভাবে হয়তো সরকার সুবিধা নিতে পারবে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্য ও ন্যায়েরই বিজয় হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, জিয়া পরিবার এবং বিএনপি'র বিরুদ্ধে যে অন্যায়-অবিচার করা হচ্ছে -এর পরিণাম সংশ্লিষ্টদের জন্য সুখকর হবে না। এদেশের মানুষ এখন সচেতন, তারা প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেলে তারা এর সমুচিত জবাব দিবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
এতে আরও বলা হয়, দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণ ও স্বার্থ বিবেচনা করে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিযুক্ত করার সকল অপকৌশল ও অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নিজেদের অশুভ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য পবিত্র বিচারাঙ্গনকে আর কূলষিত না করার জন্যও অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্প্রতি দেওয়া সব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এমএসএ