বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ছাত্রলীগের অপরাধকে আড়াল করে রেখেছে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মেরুদণ্ডকে বাঁকা করে রেখেছে ছাত্রলীগ। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নাকে খত দিয়ে দাস বানিয়ে রেখেছে তারা। কিন্তু সাধারণ শিক্ষক থেকে উপাচার্য সবাই ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডগুলোকে আড়াল করে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে তারা বলেন, ঢাবিতে নাকি কোনো গেস্টরুম ও গণরুম নেই।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ভোটারদের দাবিতে ছাত্রসমাজ ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত চার বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো রাজনৈতিক সহাবস্থান নেই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলছেন, দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে। এসব কথা বলে তারা শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির দিকে উদ্বুদ্ধ করছেন। সবসময়ই শিক্ষকরা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপস করে শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ভোটাধিকার এখন প্রতিটি শিক্ষার্থী এবং প্রতিটি মানুষের মর্যাদার প্রতীক। আমরা ভোটাধিকার চাই। আমরা খাদিজার মুক্তি চাই যিনি কোনো অপরাধ না করেও দীর্ঘ এক বছর ধরে শাস্তি ভোগ করছেন। আজকে ক্যাম্পাসে আবরাররা যখন নির্যাতিত হয় তখন ক্যাম্পাসের প্রশাসন বা দেশের বিচারপতিরা নামমাত্র বিচার করেন। আজকে আমরা ভোটাধিকার চাই কারণ ছাত্রলীগের জন্য। আমরা হলে থাকতে না পেরে বাইরে মেসে থাকি। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য আমরা চলতে পারি না। আগে ডিম দিয়ে খেতাম। কিন্তু ডিমের দাম বাড়িয়ে আমাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।
ছাত্রসমাজকে ঐক্য সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ৯০ এর দশকে মাত্র একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য শিক্ষার্থীরা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠন করে এরশাদের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থী মারা যাচ্ছে, কিন্তু আমরা ঐক্য গড়ে তুলতে পারছি না। এর কারণ হলো সব জায়গায় দখলদারিত্ব, ভয়, ত্রাস ও দুঃশাসন সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, যারা আগামীতে ক্ষমতায় আসবে তাদের কাছে আমরা দাবি জানাতে চাই, আপনাদের মাধ্যমে ছাত্রসমাজ যেন নতুন স্বপ্ন দেখতে পারে। আপনাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, আপনাদের দ্বারা শিক্ষার্থীরা নিরাপদ থাকবে, শিক্ষার অধিকার রক্ষিত থাকবে, কোনো শিশু অর্থের অভাবে ঝরে পড়বে না এবং শিক্ষা নিয়ে কোনো বাণিজ্য চলবে না।
সমাবেশে দেশের বিভিন্ন পাবলিক, জাতীয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও সমাবেশে বিভিন্ন লেখক, শিল্পী, শিক্ষক ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এআর/কেএ