ঢাবিতে মঞ্চস্থ হলো একটি নিখুঁত খুনের গল্প ‘মেঘ’

আচ্ছা সত্যিই কি নিখুঁত খুন সম্ভব? কেমন হতো যদি খুন করে সেই লাশটাকে একটা বাক্সে পুরে তার ওপর চাদর বিছিয়ে তাতে ফুলদানি সাজিয়ে কাউকে খাবার খাওয়ার নিমন্ত্রণ করা হয়? খুন হবে, অথচ ক্লু থাকবে না, সেটা কি আদৌ সম্ভব? সম্ভব-অসম্ভবের এমন অসংখ্য যুক্তিতর্ক ও সামাজিক-রাজনৈতিক চড়াই-উৎরাই নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো উৎপল দত্তের নাটক ‘মেঘ’।
শনিবার (৭ অক্টোবর) থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম কেন্দ্রীয় নাট্য উৎসবের ষষ্ঠ দিনে নাটকটি প্রদর্শিত হয়। এতে নির্দেশনা দেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল সরদার।
নাটকটি মূলত একটি সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত লেখককে নিয়ে। যার রোগ সারানোর জন্য তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে হাজির হয় তার পুরনো প্রেমিকা। অতীতে তাকে লেখা আবেগঘন চিঠি লেখকের স্ত্রীকে হাতে দিয়ে তার সংসার শেষ করে দেবে-এমন হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে সে। ব্ল্যাকমেইল থেকে বাঁচতে তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় লেখক। এমন প্রেক্ষাপটেই এগিয়ে চলে গল্প।
নির্দেশক তরিকুল সরদার বলেন, এই নাটকে মধ্যে আমাদের মনের যে দ্বন্দ্ব তা ফুটে ওঠে। অসুস্থ লেখকের চিন্তা বিভ্রমে ফুটে ওঠে সাহিত্যের অবমূল্যায়নের কথা। সবকিছুকে উপেক্ষা করে শেষ অবধি সত্যেরই জয় হয়। নাটকটিতে আরও দেখতে পাই আমাদের জীবনের বাঁচার সংগ্রাম। মানুষ হয়ত একসাথে জীবনের তাগিদে বাঁচে। তবে সেখানেও বিরাট একটা ফাঁক থেকে যায়, তবুও সংসার বাঁধে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তরিকুল সরদার, আবু সাঈদ, হাবিবুর রহমান কাঞ্চন, উর্মি আক্তার সোমা, লিজিয়া পারভীন মনিকা, চন্দ্রিমা হালদার, সোহানুর রহমান এবং শাহীন আলম জীবন প্রমুখ।
কেএইচ/এসকেডি