জাবিতে ধর্ষণে জড়িত ছাত্রলীগ নেতার বিচারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের পাশের জঙ্গলে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। তাছাড়া জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না হলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক শাওন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীল এবং সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িত অন্যান্যদের বিচারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীল এবং সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়। ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদ তাদের আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছে। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিলো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের মদতে ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ভয় এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারই ফলস্বরূপ গতকালের নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ বানানোর জন্য লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এরইমধ্যে শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের আটক ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা তাতে পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি।
জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, আরেকটি সেঞ্চুরি মানিকের ঘটনার মঞ্চায়ন করার চেষ্টা চালানো হলে তার পরিণতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য সুখকর হবে না। অবিলম্বে ধর্ষকদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়বে। তার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের ভয় এবং ত্রাসের রাজত্বের অবসান ঘটানো হবে।
কেএইচ/জেডএস