ব্যাচের নামকরণ নিয়ে মারামারি, শাবি ছাত্রলীগের ৮ কর্মী বহিস্কার

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগের ৮ কর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিস্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক সহ-সভাপতি মামুন শাহ’র অনুসারী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান হাফিজ ও রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মোব্বাশ্বির বাঙ্গালী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মহসিন নাইম ও ইংরেজি বিভাগের তৈমুর সালেহিন তাউস।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় মিয়া ওরফে রাহাত হাসান হৃদয় এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের তানভীর আহমেদ ওরফে তানভীর ইশতিয়াক এবং শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচার-বিশ্লেষণ করে ৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে। এখন নতুন করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জানা যায়, গত ৮ মার্চ ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে এক শিক্ষার্থীর অযাচিত মন্তব্যের জের ধরে শাহপরাণ হলের সামনে কথা কাটাকাটি, তর্কাতর্কির জের ধরে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ ঘটনার জের ধরে ‘খলিল’ গ্রুপের কর্মী শান্ত তারা আদনান লাঠিশোঠা নিয়ে এবং ওই গ্রুপের অন্য সমর্থকরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে মামুন শাহ’র কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এসময় মামুন শাহ’র সমর্থকরা হলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জয় বাংলা স্লোগানে হলকে উত্তপ্ত করে তুলে। তৎক্ষণাৎ হলের নিরাপত্তাকর্মীরা হলের গেট বন্ধ করে দেয়। তখন খলিল গ্রুপের কর্মীরা হলের বাহির থেকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে মামুন শাহ গ্রুপের দুই কর্মী আহত হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে মামুন শাহ’র সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হল গেট থেকে বের হয়ে খলিলুরের সমর্থকদের ধাওয়া দিলে তার সমর্থকরা পিছু হটেন। এ প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রশাসন।
জুবায়েদুূল হক রবিন/এমএএস