দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা, চবিতে গণ ইফতার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে রমজানে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গণইফতার কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ ) প্রথম রোজায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ সাধারণ শিক্ষার্থী এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ ছাড়া তারা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
চবির আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী নিয়ামত উল্লাহ ফারাবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজা ইসলামের পাঁচটি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে অন্যতম। রমজানে যথা সময়ে ইফতার করা সুন্নাত। ইফতার আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। ইফতার মাহফিল সম্প্রীতির বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি সম্প্রতি রমজানে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শাবিপ্রবি এবং নোবিপ্রবি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানাই তারা যেন এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
চবির ফিন্যান্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইসতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। এদের করের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা হয়। কিন্তু কতিপয় দ্বিমুখী চরিত্রের বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা ঘটা করে বিভিন্ন পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুষ্ঠান আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করলেও রমজানের ইফতার পার্টির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। অথচ তারা সবসময় অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলেন।
আরএআর