কোটা বাতিলের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। আধা ঘণ্টা পর রেলপথ অবরোধ তুলে নিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলস্টেশন অবরোধ করেন তারা৷
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে শাটলে চড়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে ষোলশহর রেলস্টেশনে পৌঁছান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রেলপথ অবরোধের বিষয়ে ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদীন বলেন, শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেছেন। এ কারণে ট্রেন আটকে যায়। শিক্ষার্থীদের তাঁরা বুঝিয়েছেন যাতে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষিত যুবকের অভাব নেই কিন্তু তারপরও এই কোটার মাধ্যমে চাকরি দিয়ে শিক্ষিত বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অযোগ্যরা চাকরি নিচ্ছে। এটা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। ফলে শিক্ষার্থীরা আগামীতে পড়াশোতে আগ্রহী হবে না৷ আমরা এমন দেশ চাই না। এজন্য আগামীতে শিক্ষিত সমাজ গড়তে কোটা প্রথার বিলুপ্তি চাই।
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনে তারা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো—
২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে।
সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এনটি