হামলাকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হিড়িক জবি শিক্ষার্থীদের

কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনারকে কেন্দ্র করে হামলাকারীদের সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের সম্পর্ক বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, অনেককে দেখা যায় নিজ জেলা ছাত্রকল্যাণের বিভিন্ন গ্রুপে হামলাকারীরা থাকায় সেখান থেকে নিজেরা লিভ নিয়ে তাদের প্রতি ঘৃণা জানিয়েন। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউটের একাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এটি প্রচার করে হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি দেন।

এতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, জবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৫-১৮ ব্যাচের কারও যদি আজকে বা আগামীতে, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী তথা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর আক্রমণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা আমাদের ব্যাচ থেকে বর্জন করব এবং আমাদের সঙ্গে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাকে ব্যাচ হতে সামগ্রিকভাবে বয়কট করা হবে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ ১৬তম ব্যাচ, জবির কোনো ব্যাচমেট যদি আজকে বা আগামীতে সাধারণ ছাত্রছাত্রী তথা আমাদের ভাই বোনদের ওপর আক্রমণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা আমাদের ব্যাচ থেকে বর্জন করব এবং আমাদের সঙ্গে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাকে ব্যাচ হতে সামগ্রিকভাবে বয়কট করা হবে।

ইংরেজি, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, সাবধানতা! আমাদের ক্লাসের বা ডিপার্টমেন্টের কেউ যদি সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তাহলে উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে বা তাদেরকে ক্লাস এবং ডিপার্টমেন্টের যেকোনো প্রকার কাজ হতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। আমরা কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে একই শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে রাজি নই।

প্রায় সব অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা একই কথা লিখে হামলাকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বলেন, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে যারা ছাত্রলীগের আছেন তারা আমাকে আনফ্রেন্ড করে দেন। আপনাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকুক। আমার ভাই বোনদের সঙ্গে আপনারা হিংস্র পশুর মতো আচরণ করছেন।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলাকালীন উভয় পক্ষের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমএল/এমএ