১০ মার্চের মধ্যে ঢাবির অফলাইন পাঠদান শেষ করার দাবি

আগামী ১০ রমজানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব বিভাগ-ইন্সটিটিউটে সশরীরে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এ সময় তারা ঢাবি উপাচার্য বরাবর দুই দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের এবং সদস্য সচিব মহির আলমের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি উপাচার্যের হাতে তুলে দেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন বরাবর এই স্মারকলিপির অনুলিপি পাঠানো হয়।
তাদের দাবি দুটি হলো-
১. ১০ রমজানের মধ্যে অফলাইনে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
২. রমজান মাসে প্রয়োজন মোতাবেক অনলাইন পদ্ধতিতে ক্লাস পরিচালনা করতে হবে।
আরও পড়ুন
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ন্যায্যমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের সুব্যবস্থা নেই। রমজানের সময় এই সংকট আরও প্রকট হয়। হলগুলোর ক্যান্টিন এবং মেসের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘসময় রোজা রাখা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার মোতাবেক ২৩ রমজান অর্থাৎ আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা-এসাইনমেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। হলের খাবারের দাম ও মান বিবেচনায় রমজানে এতো দীর্ঘদিন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠছে।
রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খাবারের অপ্রাপ্যতার কারণে অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরকেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান আবহাওয়া বিবেচনায় মূল ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য রোজা রেখে ক্লাসে আসাটাও কঠিন হয়ে পরেছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১০ রমজানের মধ্যে অফলাইনে সব শিক্ষা কার্যক্রম সমাপ্ত করার দাবি উত্থাপিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে ডিপার্টমেন্টগুলো অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ১০ রমজানের মধ্যে অফলাইনে সব শিক্ষাকার্যক্রম শেষ করলে বাধিত থাকব।
এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রেখে, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অসুবিধাজনক এবং কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ১০ রমজানের ভেতরে অফলাইন ক্লাস বন্ধ করা এবং প্রয়োজনের তাগিদে অনলাইন ক্লাস চালুর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার তাগিদে আমরা উপাচার্য স্যারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে থেকে দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
কেএইচ/এমজে