উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচারের পরাজয়

সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে ন্যায়বিচারের পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম একটা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। কিন্তু বর্তমান সময়ে যারা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আন্দোলন করে আসছিল, আমরা দেখতে পাচ্ছি তারাই আজ অন্ধকার রাজনীতির করালগ্রাসে বন্দি। এ কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে উদ্ভূত সংকট নিরসনে শিক্ষকদের কোনো চেষ্টা সফল হয়নি। শিক্ষা উপদেষ্টাসহ তার পাঠানো প্রতিনিধি দলও এক্ষেত্রে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। ফলে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যহতির সিদ্ধান্তে মূলত ন্যায়বিচারের পরাজয় হয়েছে।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, গৌরবান্বিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দীর্ঘ আট মাস পরও যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন কার্যক্রম চলতে থাকে, তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় সমগ্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলতে পারে, যা নিয়ে শিক্ষক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকরা সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
আরও পড়ুন
এর আগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর