অর্থাভাবে জবিতে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থী মইনুলের পাশে শিবির

অর্থাভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল কুড়িগ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী মইনুল হকের। এমন সংবাদ জানতে পেরে মইনুল হককে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।
রোববার (৪ মে) ছাত্রশিবিরের আর্থিক সহায়তায় স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছে মইনুল হক।
কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার দোলাটারী গ্রামের বাসিন্দা মইনুল হক। ২০২২ সালে গঙ্গারহাট এমএএস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও ২০২৪ সালে ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন সে। সাবেক ছিটমহলের এই শিক্ষার্থী, নানা প্রতিকূলতা ও অভাব-অনটনের মাঝেও ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক অভাব-অনটন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দিনই মারা যায় মইনুলের অসুস্থ বাবা। পারিবারিক অভাব-অনটন ও বাবার মৃত্যুতে থমকে যায় তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন। এমন সংবাদ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের। এরপর ছাত্রশিবির উদ্যোগ নিয়ে মইনুল হককে ঢাকায় এনে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেয়। ভর্তি নিশ্চিত করার পরে সংগঠনটি তার আবাসনের ব্যবস্থা করবে বলেও আশ্বাস দেয়।
আরও পড়ুন
মইনুল হক বলেন, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ ছাত্রশিবির আমার ভর্তি ফি পরিশোধ করেছে। অন্যান্য সংগঠনও নিয়মিত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার চাচা ঢাকায় থাকেন, আপাতত তার সঙ্গেই থাকব, এখনই আলাদা থাকার চিন্তা করছি না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় আমরা পাশে থাকার চেষ্টা করি। মইনুলের বিষয়টি জানার পরই আমরা দ্রুত তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাকে ঢাকায় এনে ভর্তি সম্পন্ন করেছি। প্রয়োজন হলে তার আবাসনের ব্যবস্থাও করব ইনশাল্লাহ। আমরা চাই না অর্থের অভাবে কোনো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত থেমে যাক। প্রতিবছর অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দিয়ে থাকি। তবে তা প্রচারের জন্য নয়, শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেই।
তিনি আরও বলেন, মইনুল যেন সফলতার সঙ্গে পড়াশোনা শেষ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে, আমরা সেই প্রত্যাশাই করি।
এমএল/এআইএস