বাৎসরিক বাজেট বৃদ্ধির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ইউসিজি কর্তৃক বাজেট বৈষম্যের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আসন্ন অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থী ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।  

বিক্ষোভ মিছিল থেকে বৈষম্যের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে, জবিয়ানদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, জবি নিয়ে বৈষম্য, মানি না মানবো না, বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট, ক্লাসরুমের সংকট। যা শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই বাৎসরিক বাজেটে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আবাসন সুবিধা, বিস্তৃত ক্যাম্পাস থেকেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ৩০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা বাজেট বাজেট পায়। সেখানে আবাসন সংকটে শীর্ষে থাকা জবিকে বাজেট দেওয়া হয় ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যদি চলে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলুক, অন্যথায় চিরতরে বন্ধ হয়ে যাক। বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যেভাবে বিগত সময়ে বৈষম্য করা হয়েছে, সেটা আমরা নতুন বাংলাদেশে দেখতে চাই না। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আনুপাতিক হারে আমাদের বাজেট বরাদ্দ করা হোক। 

একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার ইউজিসি চেয়ারম্যান পদে বসতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ত্যাগ রয়েছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি মেনে নিন।

জবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি— 
১) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি ও অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।
২) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ, পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ মে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে শুরু করা।
৩) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ।
৪) মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

এমএল/এনএফ