বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর পাশে জাবি ছাত্রদল নেতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘স’ ইউনিটে ৫১তম মেধাস্থান অর্জন করে আলোচনায় আসেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার মেধাবী ছাত্রী রুপালি আক্তার। তবে আর্থিক অসচ্ছলতা ও পিতৃহীন জীবনের বাস্তবতায় তার স্বপ্ন ধূসর হয়ে যাচ্ছিল। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান তিনি।
এমতাবস্থায় বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিষয়টি জানানো হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরনকে। মানবিকতার পরিচয় দিয়ে তিনি তৎক্ষণাৎ রুপালির পাশে দাঁড়ান এবং তার ভর্তির সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
রুপালি আক্তার আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা হিরন ভাই পাশে না দাঁড়ালে হয়তো আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন আর বাস্তব হতো না। এজন্য আমি তার প্রতি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক সোহাগ আহমেদ বলেন, ‘রুপালির বিষয়টি আমি আমাদের সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আল ফারুক পরাগের মাধ্যমে জানতে পারি। এরপর তার ভর্তির জন্য বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতার চেষ্টা করি। তখনই আমি হিরন ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ভাই সঙ্গে সঙ্গে তার ভর্তির দায়িত্ব নেন।’
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, ‘হিরন ভাইয়ের মতো নেতাদের কারণে শিক্ষার্থীরা ভরসা পায়। জেলা সমিতির পক্ষ থেকে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আশা করি, তিনি ভবিষ্যতেও এমন মানবিক কাজে এগিয়ে আসবেন।’
জানতে চাইলে হুমায়ুন হাবিব হিরন বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমান আমাদের অনুপ্রেরণা, আপনারা দেখেছেন তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তা করেন যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। তা ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান শামিমা সুলতানা, জাবি ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ ও বগুড়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।
এমন মানবিক ও ইতিবাচক ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও প্রশংসিত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মীরাও একে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন।
এএমকে