সাম্য হত্যা : ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্বেগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’ গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (১৪ মে) এক বিবৃতিতে তারা গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া ৬টি দাবি তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইতঃপূর্বে ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল হত্যাসহ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে মানবিক মর্যাদা ও জীবনের অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার জ্বলন্ত প্রমাণ। আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, এ ধরনের সহিংসতা ও প্রাণঘাতী ঘটনা প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত কিছু কাঠামোগত সমস্যার অবসান ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধ্যতামূলক জবাবদিহিতা প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিকার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের লক্ষ্যে ৬টি দাবি তুলে ধরছে। দাবিগুলো হলো-
১। সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের অধীনে প্রক্টোরিয়াল টিমে একটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠন করতে হবে, যা যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং প্রয়োজনে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৩। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদক ব্যবসা ও অপরাধী চক্রের অভয়াশ্রম থেকে মুক্ত করে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
৪। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভারী যান চলাচল ও হর্ন বাজানো সীমিত করতে হবে।
৫। নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে, নির্দিষ্ট পরিসরে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৬। সব প্রকার মব ভায়োলেন্সের পরিবর্তে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান করা হয় আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করতে।
এমএন