ঈদের আগে ডাকসুর তফসিল চান ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার, নিরাপদ ও বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস এবং অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী আমাদের দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কার্যকর ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন আমাদের ডাকসু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নির্বাচন হয়, কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন হয় কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। শিক্ষার্থীদের হক, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় করতে যত দ্রুত সম্ভব ডাকসু আদায় করে নিতে হবে এবং শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে।
ঢাবি শিক্ষার্থী নরুল গনি ছগির বলেন, নতুন বাংলাদেশের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আমাদের এখনো ডাকসুর জন্য এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য ভিসি চত্বরে দাঁড়াতে হলো। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। সম্প্রতি ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা হলো। তার প্রকৃত হত্যাকারীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হলো না। যেখানে ছোট কোনো ঘোটনাও গোয়েন্দা সংস্থার চোখ এড়ায় না সেখানে একজন শিক্ষার্থী খুন হলো নিজ ক্যাম্পাসের পাশে, এটার কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না প্রশাসনের কাছ থেকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা লজ্জা না জানিয়ে পারছি না যে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য এবং বহিরাগত যানবাহন ও ভবঘুরে উচ্ছেদে আমরা প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থী বান্ধব এবং নিরাপদ করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। অতিদ্রুত ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে এবং সেটা ঈদের আগেই করতে হবে।
অপর এক ঢাবি শিক্ষার্থী রেজওয়ান রিফাত বলেন, ডাকসু নির্বাচনের গঠনতন্ত্র, সিন্ডিকেট ইত্যাদি সংশোধন নিয়ে নানা টালবাহানা করলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা একটা টাইমলাইন দিয়েছিল, তা অনুযায়ী মে মাসের শেষ দিকে তফসিল ঘোষণার কথা ছিল। সে বিষয়ের প্রশাসন থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি। উল্টো ঢাবির উপ উপাচার্য (প্রশাসন) বলছেন তারা ডাকসু নিয়ে এখন চিন্তিত নন। কিন্তু ডাকসু নির্বাচন হলে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা ক্যাম্পাসের যাবতীয় সমস্যার সমাধান হতো।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা ও বিশ্ববিদ্যালয় বড় ভাই সাম্য হত্যার পরেও প্রশাসন এখনো সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়েও আমরা তেমন কোনো কার্যকারিতা দেখছি না। ক্যাম্পাসের যাবতীয় সমস্যার সমাধানে হতে পারে একমাত্র নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে।
সাদ আদনান রনি/এমএন