‘চকবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না’

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) দুপুর ২টায় এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা এলাকা থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায়সাব বাজার মোড় পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “একটি স্বাধীন দেশে এভাবে একজন সাধারণ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা কেবল আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি নয়, এটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।”
জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “চকবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। আমরা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।” অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তার একটাই পরিচয় সে অপরাধী। আমরা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আওতায় আনা হোক যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, চকবাজার, খুলনায় একের পর এক হত্যাকাণ্ড শুধু আমাদের নয়, পুরো জাতিকে শোকাহত করেছে। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি। একইসাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি—আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।"
আরও পড়ুন
এতে আরও বক্তব্য দেন— সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর, সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান রুমুসহ অনেকে।
গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এই মামলার দুই আসামিকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে নিজেদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
এমএল/এনএফ