চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবিতে সমাবেশ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবিতে সমাবেশ করেছে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম। শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল তিনটায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ করেন সংগঠনের সদস্যরা।
সমাবেশে চাকরিপ্রত্যাশীরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখকৃত ‘প্রতিশ্রুতি (বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ)’ অনুযায়ী করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবি জানান।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থীরা সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষের উপহার, ৩২ হোক ৩২ হোক, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নেই-ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ রহমান সেতু বলেন, করোনার এই অচলাবস্থায় সব বয়সের শিক্ষার্থী-চাকরিপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যেই দেড় বছর হারিয়ে ফেলেছেন যা দুই বছরের দিকে ধাবমান। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩০ হওয়ায় করোনার শুরুতে যাদের বয়স ২৮ ছিল তাদের সময় শেষ হওয়ার পথে। এ মুহূর্তে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করা না হলে আমাদের বেঁচে থাকার কোনো মানসিকতা থাকবে না।
নওগাঁ থেকে আসা নিলুফা ইয়াসমিন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে বহির্বিশ্ব আপনাকে মাদার অব হিউমিনিটি উপাধিতে ভূষিত করেছে। আপনি আজ আমাদের মতো বেকারদের দিকে তাকান। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করে আমাদের হতাশা থেকে মুক্ত করুন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজ আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কারামুক্তির দিন। আপনি এই দিনে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। আজকের এই দিনে আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। চাকরির বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩২ করে পরিবারের বোঝা হওয়া থেকে আমাদের মুক্তি দিন।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানীর সাত কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এইচআর/আরএইচ