সংস্কার না হলে পিএসসি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

পিএসসি সংস্কার এবং চাকরিতে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে ঢাবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় তারা ‘জুলাইয়ের অঙ্গীকার, পিএসসি সংস্কার; চব্বিশের অঙ্গীকার,’ ‘পিএসসি সংস্কার; পিএসসি নিয়ে তালবাহানা, চলবে না চলবে না’ সহ নানা স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন
সমাবেশে ঢাবি শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের হাসিব আল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বর্তমানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ফ্যাসিবাদী ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আওয়ামী লীগকরণ করা হয়েছিল। স্বৈরতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রের সবগুলো প্রতিষ্ঠান দলীয়করণই যথেষ্ট।
হাসিব বলেন, সরকারি চাকরিতে কোনো রাজনৈতিক দলের বা মতের সুপারিশের ভিত্তিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন এবং স্বতন্ত্রভাবে চলতে দিতে হবে। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কাউকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবে না।
ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ এই দেশের সরকারি এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গগুলোকে ঘুনে ধরা কাঠামোতে পরিণত করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক হোল্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
সব রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যাতে ভবিষ্যতেও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হয় সেজন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও দুই দফা দাবি
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেন। এসব দাবি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ও ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার্থীর সিরাজুল সালেহীন। দাবি দুটি হলো :
১. পিএসসি ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সুপারিশ ও রাজনৈতিক নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. পিএসসি সহ অন্যান্য নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটি গঠন করতে হবে।
সালেহীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা যদি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস না পাই, তাহলে কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব। পিএসসি ও প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাও করবো। অবরোধ, ব্লকেডসহ বিভিন্ন কর্মসূচির দিকে আমরা এগিয়ে যাব।
এসএআর/এআইএস