স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডারে রক্ষার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের অধীনে থাকা বিষয়গুলোতে অন্যান্য বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফর, নেপোটিজম নো মোর’, ‘স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার, রক্ষা করো! রক্ষা করো!’, ‘পিএসসির প্রহসন, মানি না! মানবো না!’, ‘পিএসসির স্বজনপ্রীতি, মানি না! মানবো না!’, ‘শিক্ষা ক্যাডার, শিক্ষা ক্যাডার, রক্ষা করো! রক্ষা করো!’ এবং ‘উপদেষ্টাদের স্বজনপ্রীতি, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের কয়েকটি বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পিএসসি শিক্ষা ক্যাডারের আওতাভুক্ত বিদ্যমান বিষয়গুলোর সঙ্গে ওই বিভাগগুলোকে মার্জ করার সুপারিশ করেছে। তাদের দাবি, এই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর স্বাতন্ত্র্য, মর্যাদা ও পেশাগত পরিসরে সরাসরি হস্তক্ষেপ।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মৌলিক পাঠ্য হিসেবে প্রতিটি বিভাগের শতবর্ষের ঐতিহ্য, সুসংহত পাঠক্রম, নিজস্ব গবেষণা ক্ষেত্র এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মে গড়ে ওঠা অ্যাকাডেমিক কাঠামো রয়েছে। অন্য বিভাগের সঙ্গে মার্জ হলে এই মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে এবং শিক্ষা ক্যাডারে যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট হবে।
আরও পড়ুন
সমাবেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্মৃতি রানী বর্মণ বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্য নির্ধারিত আসনগুলো আমাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অধিকার। এই অধিকারে অবৈধ ও অন্যায়ভাবে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে আসাটা পুরোপুরি বৈষম্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্য কখনোই মেনে নেবে না। পিএসসির কাছে অনুরোধ থাকবে, শিক্ষার্থীদের শান্তিতে পড়াশোনা করতে দিন। দু’দিন পরপর আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সাফাত উল্লাহ বলেন, ম্যানেজমেন্ট থেকে সময়ে সময়ে অনেক বিভাগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিভাগের স্বকীয়তা আছে বলেই সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তাদের ম্যানেজমেন্টের বিপরীতে শিক্ষা ক্যাডারে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা নিছক দুরভিসন্ধি। যদি তাদের স্বকীয়তা না থাকে, তাহলে এসব বিভাগ বন্ধ করে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মার্জ করে দেওয়া হোক।
এসএআর/এমএন