বিজ্ঞানভিত্তিক মাদকবিরোধী পদক্ষেপের দাবিতে তারুণ্যের সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিজ্ঞানভিত্তিক মাদকবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে ‘মাদকবিরোধী তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং-এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ সমাবেশ হয়।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের যোগাযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাবেশে গ্লোবাল ইয়ুথ ডিক্লারেশন অন প্রিভেনশন, ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড রিকভারি–২০২৫ উপস্থাপন করেন ইয়ুথ ফোরামের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঘোষণাপত্রটি একটি বৈশ্বিক মাদকবিরোধী যুব আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি।
এই ঘোষণাপত্র সর্বপ্রথম ২০২৫ সালের ১২ মার্চ অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ৬৮তম কমিশন অন নারকোটিক ড্রাগস (সিএনডি)-এর অধিবেশনে ড্রাগ ফ্রি আমেরিকা ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এক সাইড ইভেন্টে ঘোষণা করা হয়। এটি গ্লোবাল ইয়ুথ কোর গ্রুপ প্রণয়ন করে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণদের অভিজ্ঞতা ও মতামত প্রতিফলিত হয়েছে।
ঢাকায় আয়োজিত সমাবেশে ইয়ুথ ফোরাম জোর দিয়ে জানায়, স্থানীয় উদ্যোগও এই বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ। গ্লোবাল ইয়ুথ ডিক্লারেশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য তারা নীতিনির্ধারক এবং সমাজের সব স্তরের প্রতি আহ্বান জানায়।
ইয়ুথ লিডার আবু ফয়েজ বলেন, আমরা শুধু মাদকবিরোধী স্লোগানে বিশ্বাস করি না, আমরা চাই বাস্তবসম্মত ও কার্যকর ব্যবস্থা—যা তরুণদের জীবন বাঁচাবে।
শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, মাদক থেকে মুক্ত থাকতে হলে আমাদের প্রয়োজন সহানুভূতিশীল চিকিৎসা, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিরোধ এবং সবার অংশগ্রহণে গঠিত একটি সহনশীল সমাজ।
ইয়ুথ অ্যাকটিভিস্ট মাথরি সান বলেন, মাদক সমস্যার সমাধান আর আবেগ দিয়ে নয়, হতে হবে গবেষণানির্ভর ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে। আমরা সেই পরিবর্তনের দাবিদার।
সমাবেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তারা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও রিকভারি কর্মসূচি গ্রহণের দাবি জানান।
সবশেষে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আশাবাদ ব্যক্ত করে যে, তাদের কণ্ঠ ও পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণেরা বৈশ্বিক তরুণ সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মাদক প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও রিকভারি কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
এসএআর/জেডএস