জকসু নীতিমালা বিধি আকারে পাস হয়ে এলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা আগামী বুধবার বিশেষ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চূড়ান্ত করে ইউজিসিতে পাঠানো হবে। এরপর ইউজিসি, মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে জকসু নীতিমালাটি বিধি আকারে পাস হয়ে এলে ৯০ দিনের মধ্যে জকসু নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কক্ষের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের এ কথা বলেন।
শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, আমরা এক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এরপর যমুনার সামনে থেকে উঠে এসে দেখি দাবির ফল শূন্য। আমাদের জকসুর নীতিমালা প্রণয়নসহ রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার দাবি। দৃশ্যমানভাবে এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসি ভবন ছাড়ব না।
শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, আমরা দুই দফা দাবি নিয়ে এখানে বসেছি। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে চলমান যৌক্তিক দাবিগুলো কোনো এক অজানা কারণেই আটকে আছে। আমরা প্রশাসনের এই নিরবতা ভাঙতে চাই। তারা কোথায় আটকে আছে এটা তাদেরকেই বলতে হবে। কেন এই দীর্ঘসূত্রিতা জানাতে হবে শিক্ষার্থীদের। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলছে, চলবেই।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রঅধিকারের সভাপতি একেএম রাকিব, বৈষম্যবিরোধীর আহ্বায়ক মাসুদ রানা, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আতিকুর রহমান তানজিলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত ১৯ আগস্ট থেকে জকসুর নীতিমালা অনুমোদেন ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং সম্পূরক বৃত্তি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২১ আগস্টও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এমএল/জেডএস