চলন্ত বাস থেকে জাবির নারী শিক্ষার্থীকে ধাক্কা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজধানী পরিবহন বাস স্টাফের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজধানী পরিবহনের ২৭ টি বাস আটক করেছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ সংলগ্ন এলাকায় বাসগুলো আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লোক প্রশাসন বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সাভারের পাকিজা এলাকা থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে হালিমাকে নামতে বলা হয়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বললে হেলপার তাকে বাসে উঠাতে অস্বীকৃতি জানান এবং চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে হালিমার পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে ও তিনি পড়ে গিয়ে আহত হন।
প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী হালিমা বলেন, সন্ধ্যায় আমি টিউশনি শেষ করে পাকিজা থেকে বাসে উঠতে গেলে বাসের হেলপার আমাকে জিজ্ঞেস করে, কোথায় যাব? আমি বলি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যাব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনে আমাকে বাসে উঠাতে অস্বীকৃতি জানায় এবং চলন্ত বাস থেকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমি পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি, এখন হাসপাতালে অবস্থান করছি।
আটক এক বাসের চালক মো. জুয়েল বলেন, আমরা আসার পরপরই কয়েকজন শিক্ষার্থী বাস থামাতে বলে। শুনেছি, আমাদের এক বাসের হেলপার নাকি এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়েছে। এজন্যই ২৭ টি বাস আটকে রাখা হয়েছে। মালিকপক্ষ আগামীকাল দুপুর ১২টায় আসবেন বলে শুনেছি।
ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলম বলেন, এটি অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। আমি ইতিমধ্যে বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীকাল দুপুর ১২টায় বাস মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে। আলোচনা শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মেহেরব হোসেন/এমটিআই