ডাকসু নির্বাচন : বিজ্ঞান অনুষদের ৩ হলে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে বিজয়ী ২ জন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজ্ঞান অনুষদের পুরুষ শিক্ষার্থীদের তিন হলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঘোষিত প্যানেল থেকে দুইজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে শহীদুল্লাহ হল এবং অমর একুশে হলে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদের ১৩টি পদের মধ্যে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন দুইজন প্রার্থী। এর মধ্যে ‘সাহিত্য সম্পাদক’ পদে জয়লাভ করেছেন ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রদলের ১ নং যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জাহিদুল ইসলাম এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয় পেয়েছেন একই কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তীব্র হোসেন আবু সাঈদ।
মো. জাহিদুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানায়। অন্যদিকে তীব্র হোসেন আবু সাঈদ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং তার বাড়ি ময়মনসিংহে।
বিজয়ী হওয়ার পর জাহিদুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থা ও সমর্থনের প্রতিফলন। সাহিত্যাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বিগত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনসহ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা, পাঠচক্র ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী করাই আমার লক্ষ্য।
অন্যদিকে তীব্র হোসেন আবু সাঈদ বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন বলেই আমি বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। ডাকসুর এই ফলাফল আমাদের জন্য এক পাঠশালা। নির্বাচনে হোঁচট খাওয়া মানেই পিছিয়ে যাওয়া নয়। সামনে ইনশাআল্লাহ আমরা ঘুরে দাঁড়াব, বিজয়ের পতাকা তুলবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
কার্জনের তিন হলে ছাত্রদলের সীমিত সাফল্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসি উদ্দিন তামী ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রার্থী ও প্যানেলগুলোকে তাদের পারফরম্যান্স পর্যালোচনার যে সুযোগ দেওয়ার কথা, সদ্যগত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আমাদেরকে সেটা দেওয়া হয়নি। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রার্থী ও এজেন্টগণের ভূমিকা এত সীমিত রাখা হয়েছিল যে ভোটার উপস্থিতির হার নিয়ে সবার মনে সন্দেহ জাগলেও তা নির্বাচনকালে যাচাই করার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি, আবার পরবর্তীকালে যথানিয়মে আবেদন করেও তা পাওয়া যাচ্ছে না।
তামী আরও বলেন, হল সংসদসমূহের ভোটার উপস্থিতির তালিকা হাতে না থাকায় আমরা হল সংসদসমূহের নির্বাচনে ঠিকঠাকভাবে আমাদের ফলাফল পর্যালোচনা করতে পারছি না। প্রার্থীরা প্রচারণাকালে প্রচণ্ড পরিশ্রম করে ভালো সাড়া পাওয়ার পরেও এরকম ফলাফল হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য যে প্রাথমিক তথ্য দরকার, প্রশাসন সেটিও সরবরাহ করছে না। এ বিষয়ে প্রশাসনের বৈরী ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে আমরা হতাশ।
এসএআর/বিআরইউ