বর্ণাঢ্য আয়োজনে বেরোবির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রেজাউল হক ও বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী।
পতাকা উত্তোলন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারক মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে অংশ নেন।
পরে স্বাধীনতা স্মারক মাঠে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আবু সাঈদকে যদি আমরা সঠিকভাবে স্মরণ করতে চাই, তাহলে আমি অনুরোধ করব সরকার রাষ্ট্র এবং সমাজকে তার যে বিদ্যাপীঠ এটাকে একটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেন নিয়ে যায়। সেই সাথে অবকাঠামগত উন্নয়ন এবং চাই শিক্ষার মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ একদল শিক্ষক শিক্ষার্থী।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী। তিনি বলেন, সেই দেশ ততোই ভালো হবে যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় যত ভালো হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো করার জন্য দুইটি জিনিস একটা অ্যাকাডেমিক আরেকটি হচ্ছে গবেষণা। আমি চেষ্টা করছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও গবেষণায় যেন আরও বেশি ভালো ফলাফল করা যায়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও শিক্ষার্থী কল্যাণ ও উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সংগীত, নৃত্য, কবিতা ও নাটক পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে এখানে ৬টি অনুষদ, ২২ টি বিভাগ এবং প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। ১৭ বছরের এই যাত্রায় বেরোবি অগ্রযাত্রার পথে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আশার বাতিঘর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আরএআর