‘ইউটিএল’-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ২৬ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ কমিটির ঘোষণা দেন ইউটিএল-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, জ্ঞান, আত্মমর্যাদা, বিশ্বাস ও স্বাধীনতা—এই চার মূলনীতিকে ধারণ করেই ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক ছাত্র–জনতার বিপ্লব জাতির চেতনা ও মননকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলেছে। সেই পরিবর্তনের ধারাকে সামনে রেখে ইউটিএল শিক্ষা অঙ্গনে একটি ইতিবাচক রূপান্তর আনতে চায়।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা, অ্যাকাডেমিক সততা, মুক্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস, গবেষণায় উৎকর্ষতা এবং জাতীয় উন্নয়নে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা ইউটিএল-এর প্রধান লক্ষ্য। আমাদের উদ্দেশ্য হলো রাজনৈতিক আনুগত্যের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত থেকে শিক্ষা, গবেষণা ও চিন্তার স্বাধীনতা বিকাশ করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের নবগঠিত আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জোবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হক বলেন, প্রায় শতবর্ষী এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক প্রত্যাশা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও প্রশাসনিক দুর্নীতি, দায়িত্বহীনতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যমান শিক্ষক সংগঠনগুলোর অধিকাংশই রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়। তাই ‘২৪-এর অভ্যুত্থান’–উত্তর নতুন বাংলাদেশে প্রয়োজন এমন একটি শিক্ষক সংগঠনের, যারা জাতির নৈতিক ও জ্ঞানভিত্তিক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে।
ইউটিএল-এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে নৈতিক ও আদর্শিক রূপান্তরের ধারা শুরু হয়েছে। এখন শিক্ষকদের কেবল পর্যবেক্ষক নয়, বরং জাতির দিকনির্দেশক ও জনমত নির্মাতা হিসেবে ভূমিকা নিতে হবে। ইউটিএল সেই লক্ষ্যেই একটি সক্রিয়, পেশাদার ও সক্ষম শিক্ষক সংগঠন হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইউটিএল-এর কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
এসএআর/এআইএস