ভূমিকম্পে জাবির বিভিন্ন হলে ফাটল

ভূমিকম্পে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সদ্য নির্মিত ছয়টি ১০তলা আবাসিক হলে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। মেঝে, দেয়াল ও ওয়াশরুমের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরা পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হলগুলো নির্মাণে দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
ভূমিকম্পের পর সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের মেঝে, করিডরসহ নানা জায়গায় ভূমিকম্পের পর ফাটল দেখা যায়। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসানী ও মীর মোশারফ হোসেন হলের মতো পুরনো হলের কিছু জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়তে দেখা যায়।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সৌরভ বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমি হলের ৬তলায় ছিলাম। হঠাৎ ভবনটি প্রায় ১৫ সেকেন্ড ধরে তীব্রভাবে কাঁপতে থাকে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমি ও বন্ধুরা দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করি। নেমে আসার সময় সিঁড়িতে প্রচণ্ড ভিড় তৈরি হয়, অনেকে চিৎকার করছিল। নিচে নেমে সবার মুখে একই আতঙ্ক দেখেছি। ভবনটি কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পরে ভবনের দেয়ালে ও বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখতে পাই, যা আমাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের আরেক শিক্ষার্থী নিরাজ বলেন, এর আগেও যখন বৃষ্টি হয়েছিল অনেক তখন হলের লিফটের মধ্যে বৃষ্টির পানির জন্য কৃত্রিম ঝর্না হতে আমরা দেখতে পাই। এ ছাড়া, একটু বৃষ্টি হলে করিডর থেকে পানি জমে রুমেও ঢুকে যায়। এসব থেকে আমরা বুঝতে পারি সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই নতুন হলগুলোতে এসব সমস্যা হচ্ছে। তাই ভূমিকম্প যখন হয় সেই ভয় থেকেই সবাই যত দ্রুত পেরেছে হল থেকে বের হয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, আমাদের নতুন হলগুলো বিগত প্রশাসনের সময়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনগুলো নির্মাণে যে দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে সেটি দৃশ্যমান। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকৌশল বিভাগকে জরুরি তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এএমকে