জকসু নির্বাচন : ছাত্রদল প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ এর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে শাখা ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী ও শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ২৩ নভেম্বরের কনসার্টে নির্বাচনী কমিশন অনুমতি দিলেও সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল কোনো প্রার্থী স্টেজে উঠতে পারবে না। কিন্তু ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের জিএস, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক এবং হল সংসদের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী ওই স্টেজে উঠে বক্তব্য দেন। এমনকি জিএস পদপ্রার্থী প্রকাশ্যে অর্থ প্রদানের ঘোষণা দেন। এটি কমিশনের নীতিমালার ৩ নম্বর শর্তের ‘সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান তার বিভাগের এক প্রার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন জানান, যা আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারার ‘ঙ’ উপধারার লঙ্ঘন।
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক তারেক বিন আতিক এক মন্তব্যে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে লেখেন– তারা পরিবহন প্রশাসকের অফিসে এসে বিভাগীয় শহরগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য গাড়ি দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এত গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘনের পরও নির্বাচন কমিশন শুধু দুইজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এবং জবাব দিতে ১৫ দিনের সময় দিয়েছে। যদি জবাবেই ১৫ দিন লাগে, তাহলে ব্যবস্থা নিতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। এতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’
তিনি জানান, এসব ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা হতাশ এবং কমিশন ছাত্রদল- সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে কাজ করছে বলে মনে করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাত বন্ধ, আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ, এবং নির্ধারিত তারিখে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানায়।
এমএল/বিআরইউ