অনলাইন এডিআর বিচারব্যবস্থাকে আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করবে

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি) ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, ‘বাংলাদেশে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (অনলাইন এডিআর) চালুর প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর এডিআর কাঠামো বিচারব্যবস্থাকে আরও দ্রুত, স্বচ্ছ এবং সবার জন্য সহজলভ্য করবে।’
তিনি বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক গবেষণা-সংলাপ দেশের উচ্চশিক্ষাকে আধুনিক, কার্যকর ও বিশ্বমানের করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জ্ঞান-বিনিময়ের এই প্ল্যাটফর্ম গ্রিন ইউনিভার্সিটি এবং দেশের আইন অঙ্গনকে আরও শক্তিশালী গবেষণাভিত্তিক অবস্থানে উন্নীত করবে।
সম্মেলনে বিচারপতি আহমেদ সোহেল, ‘আধুনিক বিচারব্যবস্থায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি কি-নোট বক্তব্যও উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, অনলাইন এডিআর বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য দ্রুত, স্বল্প ব্যয় ও সহজ প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি সিঙ্গাপুর কনভেনশন অন মেডিয়েশনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন যে, এই আন্তর্জাতিক কাঠামো ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মধ্যস্থতা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন তরুণ গবেষকদের বৈশ্বিক গবেষণা অঙ্গনে যুক্ত হওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ড. মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান আন্তর্জাতিক অতিথি, গবেষক, প্রযুক্তি–টিম এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রিন ইউনিভার্সিটির বৈশ্বিক গবেষণা–সংযোগ আরও বিস্তৃত হয়েছে।
এ সময় মালয়েশিয়ার পুত্রা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. নূর আজমানও বক্তব্য রাখেন এবং এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিক ব্যবহার, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং সমতা– এসবই বর্তমান উন্নয়ন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এ সব আন্তঃসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা ও গঠনমূলক সংলাপের পথ খুঁজে বের করাই এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আইটিডি ২০২৬–এর জন্য শুভকামনা জানান।
শেষ পর্বে আইটিডি ২০২৫–এর আহ্বায়ক ও গ্রিন বিজনেস স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ সব বক্তা, অতিথি, গবেষক ও স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিআরইউ
