এক যুগেও সন্ধান মেলেনি জবির তিন নিখোঁজ ছাত্রদল নেতার

দীর্ঘ ১২ বছর আগে গুমের শিকার হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষক সমিতি সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে ছাত্রদল ও শিক্ষক নেতারা মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আসাদুজ্জামান রানা ও আল-আমিনসহ গুমের শিকার সব নেতা-কর্মী ও নাগরিকের সন্ধান দাবি করেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ‘পেটোয়া বাহিনী’র নির্যাতন, হামলা ও হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগের কার্যকর পদক্ষেপেরও দাবি জানান তারা।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে অনেক বিএনপি নেতা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হাতে হামলার শিকার হয়েছে। আমাদের অনেক ভাই গুম হয়েছে, আল্লাহর রহমতে অনেককে ফিরে পেয়েছি। কিন্তু আমাদের জবি ছাত্রদলের তিন ভাইকে এখনো আমরা খুঁজে পাইনি। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের অনেক ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছে, হামলার শিকার হয়েছে। বিগত ১৭ বছর আমরা মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছি। প্রশাসনের যারা গুম খুনের সাথে জড়িত তাদের বিচার চাই। যারা হয়রানির শিকার তাদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। সামনের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জবি ছাত্রদল কাজ করবে।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ্ উদ্দিন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম-খুন একটি নৈমিত্তিক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। জুলাইয়ের পর আমরা এখনো অনেকের সন্ধান পাইনি। আমাদের জবি ক্যাম্পাসের ৩ ছাত্রদল নেতা, আমার কাজিন ইলিয়াস আলী সহ আরো অনেকে গুমের তালিকায় রয়েছে। ১০ ডিসেম্বর আসে আর আমরা মানববন্ধন করি তাদের সন্ধান চাই, স্মরণ করি আবার পরদিন ভুলে যায়। তাদের পরিবারের এখন কি অবস্থা আমরা কি তা জানি? আমরা চাই আমাদের ক্যাম্পাসের ছাত্ররা যে গুম হয়েছে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে।
এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ঘুম হয়েছে সব ক্যাম্পাসে তদন্ত কমিটি হয়েছে। দুঃখজনক বিষয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। আমি এই দিনে আহ্বান করছি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ঘুম হয়েছে তাদের জন্য একটা কমিটি গঠন করা হোক।
মানববন্ধনে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএল/এমএসএ