জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে রইছ উদ্দীন-ইমরানুল হক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আগামী দিনের পথচলায় নেতৃত্বের হাল ধরেছেন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন ও অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ২০২৬ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় এই দুই জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় নির্বাচনের এই ফলাফল জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতির ইতিহাসে এবার সব কটি পদেই একক প্রার্থী থাকায় ভোটের লড়াইয়ের প্রয়োজন পড়েনি।
সভাপতি পদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক নির্বাচিত হয়ে শিক্ষকসমাজের পক্ষ থেকে গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিতদের অভিনন্দন জানান সাধারণ শিক্ষকেরা।
আগামীর অঙ্গীকার ও পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন নতুন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি একাই বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্র্যান্ডে পরিণত করতে সক্ষম হবো না, এখানে আমরা সবাই মিলে প্রচেষ্টা করব আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার। আমরা আমাদের রুটিন দায়িত্বের বাইরেও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, গত বছরের ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া এবারও চালু থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলাই হবে তাদের প্রধান লক্ষ্য। বর্তমান কমিটি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে এবং নবনির্বাচিত কমিটি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর নিজেদের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করবে।
পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সহ-সভাপতি হিসেবে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব পেয়েছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত দশজন হলেন– অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন– উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়েশা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।
নবনির্বাচিত নেতৃত্বের মাধ্যমে শিক্ষকসমাজের ঐক্য সুদৃঢ় হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এমএল/বিআরইউ