ভাড়া বাড়লেও অখুশি রিকশাচালকরা

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

৩০ জুন ২০২১, ০৪:১১ পিএম


ভাড়া বাড়লেও অখুশি রিকশাচালকরা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আওতায় বন্ধ হয়েছে যন্ত্রচালিত গণপরিবহন। রাস্তায় বের হলে এখন একমাত্র ভরসা রিকশা। আর তাই রাজধানীতে আগের তুলনায় বেড়েছে রিকশার সংখ্যা।

বিধিনিষেধের কারণে রিকশায় করে মানুষের যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই সুযোগে চালকরা হাঁকাচ্ছেন বাড়তি ভাড়া। বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় যাত্রী পাচ্ছেন না অনেক চালক। যাত্রীদের অনেকেই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ভাড়া বাঁচানোর জন্যে অনেকটুকু পথ হেঁটে তারপর রিকশায় উঠছেন। এতে অনেকটা অখুশি মেজাজে রিকশাচালকরা।

বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়, রায়সাহেব বাজার মোড়, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, মুরগীটোলা মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে অনেক রিকশাচালক যাত্রীর জন্য বসে আছেন। ভাড়ার কারণে রিকশায় উঠছেন না অনেকে। কর্মস্থলে যাচ্ছেন পায়ে হেঁটে। এমনকি ভাড়া নিয়ে রিকশাচালক ও যাত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হতেও দেখা যায়।

ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে মিটফোর্ড হাসপাতাল যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন আলতাফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালে যাব। রিকশাচালকরা ৫০ টাকার ভাড়া ৯০ টাকা চাচ্ছেন। হাসপাতালে যাওয়া লাগবেই, উপায় নেই। শরীর ভালো থাকলে হেঁটে চলে যেতাম।’

ব্যবসায়ী তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘বইয়ের কাজে বাংলাবাজার এসেছি। এখন রিকশায় ৭০ টাকার ভাড়া ৯০ টাকা। অনেকে আবার ১০০ বা ১২০ টাকা চাচ্ছেন।’

রিকশাচালক মো. কামরান বলেন, ‘গতদিনের তুলনায় আজ ২০০ টাকা বেশি আয় করেছি। লকডাউনের কারণে বাস বন্ধ থাকায় রিকশার চাহিদা বাড়ছে। তবে এখন আবার যাত্রী নেই, সবাই দাম বলেই হাঁটা দেয়।’

আরেক রিকশাচালক মো. খলিল গাজী বলেন, ‘সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ টাকা আয় করেছি। লোকজন ভাড়া জিজ্ঞেস করে হাঁটা দিচ্ছে, উঠতে চায় না। অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি, যাত্রী পাচ্ছি না।’

এমএইচএস

Link copied