ঢাবির ভর্তিযুদ্ধ রাবিতে, ধারাবাহিকতা চান অভিভাবকরা

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি

০১ অক্টোবর ২০২১, ০৩:২১ পিএম


ঢাবির ভর্তিযুদ্ধ রাবিতে, ধারাবাহিকতা চান অভিভাবকরা

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রের পাশাপাশি এবার ঢাকার বাইরে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। সে অনুযায়ী শুক্রবার (০১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ হাজার ৯৮ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল ১১ হাজার ৮৫০ জন। যেখানে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ২৪৮ জন। পরীক্ষা চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে বিশ্ববিদ্যলয়ের এম ওয়াজেদ মিয়া ভবনে যান করেন উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।  এ সময় উপ-উপাচার্য ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম, প্রক্টর লিয়াকত আলী, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, করোনার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে একটি রুমে ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে রাজশাহীতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারায় খুশি রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শুধু এ বছর নয় প্রতিবছর ঢাকাসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার আঞ্চলিক কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে করার দাবি তাদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মেয়েকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছেন ইউসুফ আলী নামের একজন অভিভাবক। তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে অভিভাবকদের থাকাসহ বিভিন্ন হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়। তবে রাজশাহীতে প্রতিবছর পরীক্ষা হলে অনেক হয়রানি থেকে বাঁচা যাবে।

Dhaka Post

রবিউল আলম নামের একজন অভিভাবক বলেন, ঢাবির পরীক্ষা যখন ঢাকাতে হয় তখন এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা প্রথমবার ঢাকাতে যায়। তখন শিক্ষার্থীরা কোথায় গিয়ে থাকবে, কোথায় খাবে? এটা নিয়ে চিন্তায় থাকে। তবে স্ব স্ব বিভাগীয় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেওয়াতে শিক্ষার্থীদের সেই ভোগান্তি অনেক কমেছে। স্থায়ীভাবে ভর্তি পরীক্ষাগুলো বিভাগীয় শহরে নেওয়া হলে ভালো হবে। 

কাজলী সরকার নামের একজন অভিভাবক বলেন, পরীক্ষা দিতে অন্য শহরে গেলে দূরের জার্নি করতে হয়। তাতে শারীরিক অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়। খরচও যেমন বাড়ে তেমনি অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরীক্ষা খারাপ হয়। তবে নিজ এলাকায় পরীক্ষা হলে মানসিকভাবে শক্ত থাকে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রুটিন অনুযায়ী, আগামীকাল (২ অক্টোবর) একই সময়ে ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হবে, এই ইউনিটে রাবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী আছেন ৬ হাজার ৩৭১ জন। এরপর ৯ অক্টোবর ‘চ’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৭৭ জন সাধারণজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

অন্যদিকে ২২ ও ২৩ অক্টোবর যথাক্রমে ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘গ’ ইউনিটে ১ হাজার ৮২৪ জন ও ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ১২ হাজার ১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

মেশকাত মিশু/এমএসআর

টাইমলাইন

Link copied