পরীক্ষার্থীরা হলে, মা-বাবারা প্রার্থনায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষা চলছে। শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত হলে ভর্তি যুদ্ধে লড়ছেন, অন্যদিকে বাইরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা। কারও মা-বাবা, কারও ভাই, কারও দাদা এসেছেন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে। তাদের প্রার্থনা একটাই- পরীক্ষাটা যেন ভালো হয়।
শনিবার (২ অক্টোবর) কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তে পরামর্শ আর দোয়া নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগারের সামনে, বটতলায়, সমাজবিজ্ঞান চত্বরে ও ফুটফাতে বসে স্বজনের অপেক্ষায় রয়েছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। কেউ পত্রিকা পড়ে, গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কেউবা সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থনায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের (পরীক্ষার্থী) পরীক্ষাটা যেন ভালো হয়, সবকিছু যেন ঠিকঠাক থাকে এবং তাদের মানসিক সাপোর্ট দিতেই পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত আসা এবং অপেক্ষা করা।
রাজধানীর মিরপুর থেকে এসেছেন সালমা বেগম। মেয়েকে পরীক্ষার হলে ঢুকিয়ে দিয়ে দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রস্তুতি ভালো। তবুও একটু টেনশন কাজ করছে। মেয়েটা যেন ভয় না পায়। ঠিকভাবে যেন পরীক্ষা শেষ করতে পারে, সেজন্য দোয়া করছি।’

মতিঝিল থেকে এসেছেন ফরিদ উদ্দিন। ছেলেকে পরীক্ষার হলে পাঠিয়ে বটতলায় বিশ্রাম নিচ্ছেন তিনি। কিছুটা চিন্তিতও মনে হয়েছে তাকে। জানতে চাইতেই তিনি বলেন, ‘বাবা আমার ছেলেটার জন্য দোয়া কইরো। আজও অফিস ছিল। ছেলের পরীক্ষার জন্য, তাকে একটু সাহস দেওয়ার জন্য ছুটি নিয়েছি।’
অস্থির সময় কাটছে উল্লেখ করে এক বাবা বলেন, ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে কিন্তু আমার খুবই অস্থির লাগছে। যতক্ষণ বের হবে না, ততক্ষণ টেনশনে থাকব। দোয়া করি যেন তার পরীক্ষা ভালো হয়।

হাসিনা বেগম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, যতক্ষণ পরীক্ষা শেষ না হবে, ততক্ষণ বাসায় গিয়ে স্থির থাকতে পারব না। শিক্ষাজীবনের যে কয়েকটি বড় ধাপ রয়েছে, তার একটিতে আজ ছেলে অংশগ্রহণ করেছে। একটু টেনশন তো হচ্ছেই। বসে বসে তার জন্য দোয়া পড়ছি।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি পরীক্ষাগুলোও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ২২ অক্টোবর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (গ ইউনিট), ২৩ অক্টোবর সামাজিক বিজ্ঞান (ঘ ইউনিট) এবং ৯ অক্টোবর চারুকলা অনুষদের (চ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এইচআর/এসএসএইচ