কুবির দত্ত হলে ২ ব্যাচের সংঘর্ষে আহত ৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দত্ত হলে সিনিয়র ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে 'তুমি' বলে সম্বোধন করায় ১২তম এবং ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বাধন ১২তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থীকে 'তুমি' বলে সম্বোধন করে। ফলে ১২তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাধনকে তাদের রুমে গিয়ে শাসায়।
পরবর্তীতে এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাধনের বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফীকে মারধর করতে থাকে। শাফীকে মারধরের খবর পেয়ে তার বন্ধুরা রুমের দরজা ভেঙে শাফীকে ১৩তম ব্যাচের হাত থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় দুই ব্যাচ মারমুখী হয়ে উঠলে দত্ত হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের কক্ষে নিয়ে মীমাংসা করেন।
এ বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম দীপ্ত বলেন, আমি জেনেছি কথা-কাটাকাটির জেরে দুই ব্যাচের মাঝে উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়। পরবর্তীতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংগঠনিকভাবে তাদেরকে মিটমাট করে দিয়েছি।
দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির এমন ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ম্যাচিউরিটির অভাবে। ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে বেয়াদবি করবে সেটা অপ্রত্যাশিত।
এ বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। যদি হলে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত কমিটি গঠন করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তবে মারধরের শিকার ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফী বলেন, তারা সিনিয়রদের গায়ে হাত তুলেছে, সাংগঠনিক একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। দত্ত হলের ইতিহাসে যা কোনোদিন হয়নি, তারা তা করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তারা হলে থাকার যোগ্য না। ইলিয়াস ভাই, মাজেদ ভাই ( বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) সাংগঠনিকভাবে যে সিদ্ধান্ত নিবে আমরা তা মেনে নিব
জাভেদ রায়হান/আরআই
