রুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি পালন শেষে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিআর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কর্মী তানভীর আহমেদ আবির তার ৩০-৪০ জন অনুসারী নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তারা সিসিআরের সামনে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসফাক ইয়াসির ইপু তার অনুসারীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে আবিরের ক্যাম্পাসে ঢোকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে সেটি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। তবে এতে সংঘর্ষ কিংবা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসফাক ইয়াসির ইপু বলেন, বহিরাগতরা আমাদের ছাত্রলীগের একজনকে গালিগালাজ করে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করেছে।
আবির রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩ সিরিজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে অন্তত ৯-১০ জন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিতে দায়িত্বরত নেতা ছিলেন। এর বাইরে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে সেখানে ছিলেন।
তানভীর আহমেদ আবির বলেন, জেলহত্যা দিবসে মহানগরীর অনুষ্ঠান শেষে আমরা ক্যাম্পাসে চা পান করছিলাম। এ সময় তারা আমাদের সঙ্গে উসকানিমূলক কথা বলতে শুরু করেন। আমরা তো কোনো অপরাধ করিনি। আমরা পালাইনি, সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আউয়াল বলেন, বহিরাগত কিছু ছেলে এসেছিল। তাদের সঙ্গে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের ঝামেলা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে র্যাব এবং পুলিশ অবস্থান করছে। বর্তমানে ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী বলেন, দুই গ্রুপের উত্তেজনার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কেউ যেন ফের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সমস্যার সৃষ্টি না করে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।
মেশকাত মিশু/আরএআর