বেরোবিতে একাডেমিক গেট বন্ধ রেখেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একাডেমিক গেট না খুলেই চলছে একাডেমিক কার্যক্রম। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রধান গেট (২ নং গেট) ঘুরে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। তবে বেরোবি প্রশাসন জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে গেটটি বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১১ নভেম্বর থেকে সকল বিভাগে একযোগে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়। একাডেমিক গেট বন্ধ রেখে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থীকে প্রধান গেট ঘুরে এসে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গেট বন্ধ রেখেছে। এটা খুবই অমানবিক কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন দিনে একাধিক ক্লাস হচ্ছে। এর মাঝে দুপুরের খাবার খেতে যেতে হচ্ছে মেসে। প্রত্যেকবার প্রধান গেট ঘুরে মেসে যেতে হচ্ছে। প্রধান গেট খুলে দিলে আমাদের ঘুরে যাওয়া লাগত না।
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ আরমান বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পর একাডেমিক গেট বন্ধ রাখার কোনো মানেই হয় না। এখনও মনে হচ্ছে আমরা আবদ্ধ জায়গায় রয়েছি।
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একাডেমিক গেট বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে দ্রুত গেটটি খুলে দেওয়া উচিত।
বেরোবি প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে একাডেমিক গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। গেট সংলগ্ন ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এখনও সীমানা প্রাচীরের গোড়ায় মাটি ভরাট করা হয়নি। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য (মাটি ভরাট) সিটি কর্পোরেশন বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাসে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৯ মাস পর গত ১১ নভেম্বর আবারও সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।
এসপি