হাবিপ্রবিতে ধীরগতির ইন্টারনেটে ভোগান্তি

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, হাবিপ্রবি

২৩ নভেম্বর ২০২১, ০২:৩৪ পিএম


হাবিপ্রবিতে ধীরগতির ইন্টারনেটে ভোগান্তি

উত্তরবঙ্গের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দেশব্যাপী পরিচিতি থাকলেও এখনো উচ্চমানের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং ৮ আবাসিক হলের একটিতে ওয়াই-ফাই (ইন্টারনেট) সেবা থাকলেও দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সির কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। ফলে ই-লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম থেকে পিছিয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ হল, ডরমিটরি-২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা চরমে উঠছে। হলের সামনে মোবাইলে দু-একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ারের দেখা মিললেও হলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তা অদৃশ্য হয়ে যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) চারটি অপারেটরকে চিঠি পাঠানো হয়। তারা এসে হলগুলো থেকে সিগনাল মেজারমেন্ট করে নিয়ে চলে যায়। তবে কবে নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না কেউ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই আওতায় আনার কথা থাকলেও শুধু টিএসসিতে সীমাবদ্ধ। ধীরগতি, দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সি এবং যে কয়েকটি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই সুবিধা পাওয়া যায় সেখানেও সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

শিক্ষকদের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইনে বিভিন্ন বই কিংবা উপকরণ খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি অর্থের চাপে। আবার সেই ওয়াই-ফাই সংযোগ সেবা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। 

ডরমিটরি-২ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, হলে তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ওয়াই-ফাই নেই, তাই আমরা ডাটা কিনে আমাদের কাজ চালাই। কিন্তু দেখা যায় হলে ঢোকার পরে নেটওয়ার্ক আর থাকে না। অনেক কষ্টে কল করা যায়, তাও আবার কথা কেটে-কেটে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান জানান, ক্যাম্পাসের প্রতিটি পয়েন্টে যেন ওয়াই-ফাই যায়, ভিসি স্যার আমাদের সেই বিষয়ে কাজ করতে ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই এর আওতায় আনার ক্ষেত্রে ফান্ডিং একটি বড় বিষয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে অনেকটা কষ্টকর।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এটিএম শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে, হলসুপার কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী ও আমাকে নিয়ে একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে প্রাথমিক স্ট্রাকচার দেখিয়ে দিয়েছি।

এমএসআর

Link copied